এবার নুরকে অব্যাহতি দিলেন রেজা কিবরিয়া
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ জুন,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:০৮ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আহ্বায়ক পদ থেকে বাদ দেওয়ার পর পাল্টা জবাব দিলেন রেজা কিবরিয়া। এবার বিদেশ থেকে দলের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরকে বাদ দিয়ে হাসান আল মামুনকে (মো. আল মামুন) ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২০ জুন) রাত ৮টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গণ অধিকার পরিষদের (রেজা কিবরিয়া) দফতর উপকমিটির সহ-সমন্বয়ক শাহাবুদ্দিন শুভ বিজ্ঞপ্তির কথা নিশ্চিত করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রেজা কিবরিয়া উল্লেখ করেছেন, ‘গণ অধিকার পরিষদের গঠনতন্ত্র, ২১ দফা কর্মসূচি, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং মূলনীতি-বিরোধী কাজ করা, সংবিধান, মানি লন্ডারিং আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠা, ইসরাইলসহ বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ, অনৈতিক আর্থিক লেনদেন, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে সভা আয়োজন ও অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনোনয়ন করা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক পোস্ট দিয়ে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মো. নুরুল হককে (ভিপি নুর) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো।’
‘একইসঙ্গে এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করায় কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খাঁনকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। উভয়কে দলের দফতর বরাবর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।’
বিজ্ঞপ্তিতে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘একইসঙ্গে আমি ড. রেজা কিবরিয়া, আহ্বায়ক, গণ অধিকার পরিষদ সাংগঠনিক ক্ষমতাবলে পরবর্তী নির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সদস্য সচিব হিসেবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও অধিকার পরিষদের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা হাসান আল মামুনকে (মো. আল মামুন) ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত করছি।’
‘দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের আন্দোলন বেগবান করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো’ বলে জানান রেজা কিবরিয়া।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণ অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ‘রেজা ভাই তো দেশের বাইরে। তিনি কীভাবে সিদ্ধান্ত নিলেন। আমরা তো কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছি। এ ধরনের কোনও আলোচনা কমিটিতে হয়নি। এই সিদ্ধান্ত কারা নিলো, কীভাবে নিলো। আর ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব করা হয়েছে এমন একজনকে, যিনি যুগ্ম আহ্বায়ক। একজন যুগ্ম আহ্বায়ক কীভাবে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পান। আমি হাসান আল মামুনকে কল করেছিলাম, ধরেনি।’