বিএনপির নেতাদের ‘নির্বাচনবিরোধী বক্তব্য’ যুক্ত করে ব্লিংকেনের কাছে চিঠি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ মে,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৩:৪২ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘নির্বাচনবিরোধী বক্তব্যের’ ভিডিও ফুটেজ সংযুক্ত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের কাছে চিঠি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত।
শুক্রবার (২৬ মে) রাতে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।
আরাফাতকে সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে অংশ নিতে দেখা যায়। সবশেষে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় বৈঠকেও অংশ নেন তিনি।
এই বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. আলী আরাফাত (মোহাম্মদ এ আরাফাত), বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল।
মোহাম্মদ এ আরাফাতের ফেসবুক পোস্ট করা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনাদের সম্প্রতি ঘোষিত ভিসা নীতি অনুসারে (এবং আপনি যে চিঠিটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন) যেখানে আপনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, এই নীতি বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিবৃত প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করে এবং যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশি নাগরিক বা যে কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকর্তারা যখন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে তখন তাদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে।’
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘এখানে আমি কিছু ভিডিও ফুটেজ সংযুক্ত করেছি, যেখানে আপনি দেখতে পাবেন যে, বিএনপির কিছু শীর্ষ নেতারা বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছেন। আমি আশা করি, আপনার ভিসা নীতি বিএনপির এই নেতাদের জন্যও প্রযোজ্য হবে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা পলিসি ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ মে এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানান, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তার জন্য নতুন এই পলিসির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
নতুন পলিসি অনুযায়ী, বাংলাদেশের নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করলে বা তাতে সহায়তা করলে যে কোনও ব্যক্তিকে আর ভিসা নাও দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। যাদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে তাদের মধ্যে বাংলাদেশের কর্মরত কিংবা সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি বা বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরাও রয়েছেন।