ক্ষমতা হারানোর ভয়ে প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমাদের প্রতি রাগান্বিত: মির্জা ফখরুল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৬ মে,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:২৩ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
মির্জা ফখরুল ছবি: ফাইল
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরবৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমাদের প্রতি রাগান্বিত। উনি এত রেগেছেন কেন পশ্চিমাদের প্রতি! সম্ভবত নিরাপত্তা বোধ করছেন না। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছেন।
সোমবার (১৫ মে) গুলশানে দলের নেতাদের এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনা খুব সুন্দর করে কথা বলেন। তিনি সবসময় ইনসাল্ট করে কথা বলেন। জাতিকে তিনি একটা ধারণা দিতে চান যে, এখানে বিকল্প কোনও নেতৃত্ব নেই। তিনি এই যে সফরটা করেছেন, সফর সম্পর্কে তিনি ধারণা দিতে চান— সফর সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। কিন্তু আমরা যেটা জানতে পেরেছি, জাতীয় আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মাধ্যমে এ সফরের ফলাফল জিরো প্লাস। আইএমএফ শেখ হাসিনার নেতৃত্ব নিয়ে কিছু বলেনি। সফরের অর্জন জনগণ বিচার করবে। বিশেষ কোনও অর্জন হয়েছে বলে আমরা মনে করি না।’
‘এতদিন পর প্রধানমন্ত্রী স্যাংশন নিয়ে কথা বলছেন কেন’ সে বিষয়ে প্রশ্ন রেখে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘উনি কেন এতদিন পর স্যাংশনের ওপর বিষোদগার করছেন? তিনি ভালো করে জানেন, যারা দেয় তারা কিসের ওপর স্যাংশন দেয়। কিছুদিন আগে রাশিয়ার জাহাজ স্যাশনের কারণে ঢুকতে পারেনি, বাংলাদেশ ফেরত দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বাংলাদেশ কী কেনে তা মোটামুটি আমরা সবাই জানি, বুঝতে পারি। তিনি সম্ভবত ইরিটেটেড হয়ে আছেন পশ্চিমাদের প্রতি।’
কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও কর্মকর্তাদের নিয়মিত প্রটোকলের বাইরে কোন প্রটোকল না দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছে সরকার। তাই পশ্চিমাদের ওপর রাগান্বিত তিনি। আমরা আশা করবো, কোনও দেশের সঙ্গে যেন বাংলাদেশের জনগণের সম্পর্ক নষ্ট না হয়।’
বৈঠকে বিএনপির স্হায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা পরিষদের আবদুল হাই শিকদার, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জেড খান রিয়াজ উদ্দিন নসু, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসুফ হায়দার অংশ নেন।