ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু-কিছু অপপ্রয়োগ হয়েছে: আইনমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ অক্টোবর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:২৮ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি হয় ২০১৮ সালে। এরপর ২০১৯ সালে করোনা শুরু হওয়ার পরে আমি দেখেছি এর কিছু-কিছু মিস ইউজ-এবিউজ বা অপপ্রয়োগ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শনিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর বনানীতে ঢাকা আর্ট গ্যালারিতে এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ’ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিতর্ক’ বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক স্বাধীনতা বা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য হয়নি। এটি জনস্বার্থেই হয়েছে। সংবিধানে ১৯৭৫ এর পর অনেক খেলাধুলা করা হয়েছে। কাজেই, যদি মনে করেন, এই আইন সাংবাদিকদের টার্গেট করে, তা না। যদি, এমন হয়, আপনাকে অপরাধের ভিত্তিতে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেক্ষেত্রে এই আইন জরুরি।
মন্ত্রী বলেন, ব্যাপারটা হচ্ছে আমাদের আইন আছে, সেটা কোর্টে জাজ হওয়ার সুযোগ আছে। কোনো অপরাধ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মধ্যে পড়ছে কিনা সেটা নির্ধারণ করার জন্য একটা সেন্টার থাকবে। তারপরে, সেটা আদালতে গড়াবে।
তিনি বলেন, ১৯৯০-১৯৯২ সালে আমরা যখন উকালতি করতাম, ম্যাক্সিমাম ডিটেনশনের মামলা পরিচালনা করতাম। আজকে দেখেন ডিটেনশন নেই। তখন এমন ছিল যে ৩০ দিন বিনা বিচারে কাউকে আটক রাখতে পারে। পরবর্তীতে, আরও ৬০ দিন আটক রাখতে পারবে। এখন কিন্তু আর সেটি নেই।
কার্টুনিস্ট কিশোরকে পুলিশি হেফাজতে ৩০০ দিন আটক রাখা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যেকোনো ইমপ্লিমেন্ট এর সময় কিছু অপব্যবহার হয়। আপনি কি মনে করেন আমরা কান বন্ধ করে রেখেছি। উই আর ট্রাইয়িং টু সলভ দিজ। আরেকটা বিষয় হচ্ছে অজামিনযোগ্য মানে এই না যে, সে কোনোদিন জামিন পাবে না। তাকে পুলিশ থানা থেকে তাকে ছাড়তে পারবেন না। বিজ্ঞ আদালত বিবেচনা করবেন তাকে জামিন দেবেন কি দেবেন না। আপনাদের এই আইন ভীতি দূর করার জন্য কি কি করা দরকার, আমরা আপনাদের সঙ্গে বসে করব। ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ডেটা কন্ট্রোল করার জন্য এই আইন না, আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি। বিশ্বের যে মান, তার সঙ্গে মিলিয়ে আইন করা হবে।
বৈঠকে মূল নিবন্ধ পাঠ করেন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।
তিনি বলেন, এ আইনের চার বছর হয়ে গেল। দুই বছর আগে এই আইনে আটক সাংবাদিক মুশতাকের মৃত্যু হয়। বন্ধ হয়ে গেছে কার্টুন। পত্রিকাগুলোতে প্রায় উঠে গেছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। উপাত্ত সংরক্ষণ আইন এটি মানুষের ক্ষতি করবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এমন কথা বলছে।
আলোচনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সংস্কৃতিজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সোহরাব হাসান, চলচ্চিত্র নির্মাতা কামার আহমাদ সায়মান, আর্টিকেল-১৯ এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ফারুক ফয়সাল, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. হারুন অর রশীদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সভাপতি জেড আই খান পান্না।