'দেশের টেকনোলজি দিয়ে খালেদা জিয়ার রোগ নির্ণয় সম্ভব না': ফখরুল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ নভেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:১৬ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অনেক অসুস্থ। এখন তার জীবনকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দেশের টেকনোলজি দিয়ে তার সঠিক রোগ নির্ণয় সম্ভব হচ্ছে না। তাই চিকিৎসকরা বার-বার তাকে বিদেশে এডভান্স সেন্টারে চিকিৎসা জন্য নিতে বলছেন।
আজ শনিবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, কেন আমরা দেশনেত্রীর বাইরে চিকিৎসার কথা বলছি, কী কারণে? তা আমাদের সবারই জানা উচিত। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যে অসুখ, তা প্রধানত পরিপাকতন্ত্রের। কোন জায়গায় তার রক্তপাত হচ্ছে- এটাকে বের করার জন্য আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ ডাক্তাররা গত কয়েকদিন ধরে চিকিৎসার যে পদ্ধতি আছে, সেই পদ্ধতি অনুযায়ী বিভিন্ন রকম কাজ করেছেন। কিন্তু একটা জায়গায় এসে তারা আর এগোতে পারছেন না। কারণ, সেই ধরনের কোনো টেকনোলজি দেশে নেই, যে টেকনোলজি দিয়ে সেখানে পৌঁছাতে পারেন।
তিনি বলেন, যে কারণে চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, দেশনেত্রীকে একটি এডভান্স সেন্টারে নেওয়া দরকার। যেখানে এই ডিভাইসগুলো আছে, টেকনোলজি আছে, যন্ত্রপাতিগুলো আছে। যেখানে গেলে তার রোগের জায়গাটা তারা ধরতে পারবেন।
তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, দুর্ভাগ্যের ব্যাপার যে, আমাদের দেশে যারা সরকারি দলের রাজনীতি করছেন, তাদের ন্যূনতম রাজনৈতিক শিষ্টাচার তো নেই। তাদের মানবিক বোধ তো নেই। আর নিজের সম্পর্কে তাদের এত বেশি দাম্ভিকতা যে, তারা যেকোনো ব্যক্তি সম্পর্কে, বিশেষ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে কটূক্তি করতে এতটুকু দ্বিধা করেন না।
তিনি বলেন, সরকার একবারও মনে করেন না দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছেন সেই মহিয়সী নারী যিনি ১৯৭১ সালে তার স্বামী যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তখন তার শিশুপুত্রকে হাতে ধরে পালিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন এবং সেখানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ক্যান্টনমেন্টের কারাগারে ছিলেন। অর্থাৎ দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে তার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
গণতন্ত্র আর খালেদা জিয়াকে আলাদা করা যাবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি, তার চিকিৎসা, তার বেঁচে থাকা এ জাতির কাছে খুবই জরুরি। এ সরকার দীর্ঘকাল থেকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার কাজ করছে। আজকে নয়, এটা শুরু হয়েছে ১/১১ থেকে এবং তারই পরিণতি হিসেবে আজকে খালেদা জিয়া মৃত্যুর প্রহর গুনছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান খান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ অনেকে।