avertisements 2

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে নায়ক ফারুক

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ৬ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৫৫ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সাংসদ আকবর হোসেন পাঠান দুলু (ফারুক) গত ২১ মার্চ থেকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন। গত ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছিল আকবর হোসেন পাঠান দুলুকে। এর আগে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। সবশেষ তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

২১ মার্চ রাতে তার ছেলে রোশন হোসেন পাঠান শরৎ নিশ্চিত করেন, তার বাবা ১৩ মার্চ থেকে হাসপাতালে ভর্তি।

আজ সোমবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফারুকের ছেলে রোশান হোসেন পাঠান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাবার শারীরিক অবস্থার আপডেট জানাতে চাই। উনি ২১ মার্চ থেকে আইসিইউতে আছেন। তার আগে ১৫ মার্চ খিচুনি শুরু হলে উনার মস্তিষ্কে একটি সিজার করা হয়। বাবা এখন হালকা নড়াচড়া করতে পারেন। পরিবারের পক্ষে দেশবাসীর কাছে বাবার জন্য দোয়া চাই।’

প্রায় পাঁচ দশক ধরে বড় পর্দা মাতিয়েছেন ফারুক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’তে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে ফারুকের অত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন মিষ্টি মেয়ে কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার আলোর মিছিল এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

১৯৭৫ সালে তার অভিনীত ‘সুজন সখী’ ও ‘লাঠিয়াল’ সিনেমা দুটি ব্যাপক ব্যবসা সফল হয়। ওই বছর ‘লাঠিয়াল’র জন্য তিনি সেরা-পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ ও ‘নয়নমণি’, ১৯৭৮ সালে শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘সারেং বৌ’, আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’সহ বেশকিছু সিনেমায় ‘মিয়া ভাই’খ্যাত চিত্রনায়ক ফারুকের অভিনয় প্রশংসিত হয়।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2