ড. ইউনূসকে নিয়ে বিশ্বনেতাদের দেওয়া চিঠির জবাব দিলেন আরাফাত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩১ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:০০ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন ১০০ নোবেলজয়ীসহ ১৬০ জন বিশ্বনেতা। এবার সেই চিঠিরই জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা, ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত। আজ বুধবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে চিঠিটির জবাব দেন তিনি।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত লেখেন, অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ জানিয়ে বৈশ্বিক নেতাদের চিঠির দ্রুত প্রতিক্রিয়া:
শ্রম আদালতে বিচারাধীন বর্তমান বিচারিক মামলার অভিযোগকারীরা গ্রামীণ টেলিকমের কর্মী। এখানে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। শ্রমিকরাই মামলা নিয়ে এসেছে এবং এই মামলা নিয়ে তারা কি করতে চায় তা সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার তাদের।
দ্বিতীয় শ্রম মামলাটি, শ্রম আইন লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের জন্য শ্রম বিভাগ থেকে করা হয়। প্রফেসর ইউনূসের পক্ষ থেকে অভিযোগগুলো সঠিক নয়, এমন কোনো প্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়নি। যা দাবি করা হয়েছে তা হলো ‘ব্যতিক্রমবাদ’। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
বাংলাদেশের আইনে বিচারকদের একটি প্যানেল গঠন করে তা পরিবর্তন পর্যালোচনা করার ক্ষমতা কোনো কর্তৃপক্ষের নেই। শ্রম আদালতের সভাপতিত্ব করেন একজন একক বিচারক। প্রফেসর ইউনূস শ্রম আদালতের বিচারকদের একটি প্যানেলের সামনে রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করার সুযোগ পাবেন। তারপরে হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগের শরণাপন্ন হবেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা এফআইআর অনুযায়ী, আইন অনুমোদিত সংস্থার তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ সরকারকে অভিযোগ পর্যালোচনা করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিচারকদের একটি প্যানেল গঠন করার অনুমতি দেওয়ার কোনো আইন নেই। যে কোনো কর্তৃপক্ষের যে কোনো অভিযোগ পর্যালোচনার জন্য মূলত আইন লঙ্ঘন অভিযোগের তদন্তের প্রয়োজন হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ঠিক সেটাই করছে।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে চিঠি লেখেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তার একদিন পর ২৮ আগস্ট ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিচারিক কাজ স্থগিত করার দাবি জানিয়ে ১৬০ জন বিশ্বনেতা একটি নতুন চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।