সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান আর নেই
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৮ আগস্ট,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:২৮ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
সাবেক ধর্মমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
রোববার রাত ১০টা ৪৫মিনিটে ময়মনসিংহের নেক্সাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মী, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ। এতে সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গত বছর একুশে পদক পান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম এ নেতা।
প্রবীন এই সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ১৯৪২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবদুর রেজ্জাক এবং মায়ের নাম মেহেরুন্নেসা খাতুন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকে পথ চলতে অভ্যস্ত এ প্রবীণ রাজনীতিক আকুয়া মডেল প্রাইমারি স্কুল থেকে ১৯৫৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় প্রথমস্থান অধিকার করেন। ১৯৫৪ সালে ময়মনসিংহ জেলা স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেন। এরপর তিনি নকলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি সম্পন্ন করেন। নবম ও দশম শ্রেণি পর্যন্ত ময়মনসিংহের মৃত্যুঞ্জয় স্কুলে পড়াশুনা করেন এবং ১৯৫৮ সালে মেট্রিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে ১৯৬১ সনে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
এরপর ১৯৬৪ সালে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ওই সময় তিনি গফরগাঁও থানার পাঁচবাগ উচ্চ বিদ্যালয় এবং মনোহরদি হাতিরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বিএসসি. শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৬৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হয়ে ১৯৬৭ সালে এমএসসি সম্পন্ন করেন। এমএসসি পাসের পর তিনি জামালপুর জেলার নান্দিনা কলেজ এবং ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে প্রাণিবিদ্যার শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেন। তিনি স্বল্পকালীন সময়ের জন্য ময়মনসিংহ কলেজেও শিক্ষকতা করেন।