বাংলাদেশি মোজাম্মেলকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে তোলপাড়
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৭ জুন,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৪:৪৬ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
মাত্র এক সপ্তাহ আগেও ব্রিটেনের মানুষ এই নামের সঙ্গে পরিচিত ছিল না। বাংলাদেশি গণমাধ্যমের লোকজনও কেউ জানতেন না কিছুই। হঠাৎ করেই বাংলাদেশি এই মানুষটিকে নিয়ে ব্রিটেনজুড়েই চলছে তোলপাড়। যুক্তরাজ্যের সরকারি দল কনজারভেটিভ পার্টি থেকে লন্ডনের মেয়র নির্বাচনে মনোনয়ন দৌড়ে উঠে এসেছে তার নাম।
দলের বাঘা বাঘা প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে শেষ তিনে এসে পৌঁছেছেন মোজাম্মেল।
ব্রিটেনের মূল ধারার গণমাধ্যমগুলো তাকে নিয়ে ছাপছে বিশাল বিশাল প্রতিবেদন। বাংলাদেশের বরিশালের এক অজপাড়াগাঁয়ে জন্ম ও বড় হওয়া মোজাম্মেলের। তিনি নিজেই ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁর একজোড়া জুতো ছিল না।
২১ বছর বয়সে তিনি লন্ডনে পড়তে আসেন, সেটা ছিল তার জীবনের প্রথম বিমান ভ্রমণ।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) লন্ডনের আসন্ন মেয়র নির্বাচনে সম্ভাব্য তিনজন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেন টোরি পার্টির নীতিনির্ধারকরা। সংক্ষিপ্ত সেই তালিকায় মোজাম্মেল হোসেনের নাম রয়েছে। বাকি দুজন হলেন- কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতা সুসান হল এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ও প্রযুক্তি ব্যবসায়ী ড্যানিয়েল করস্কি।
আর এই নাম ঘোষণার মধ্য দিয়েই আলোচনায় আসেন মোজাম্মেল।
মোজাম্মেল হোসেন ১৯৯৫ সালে ২১ বছর বয়সে ব্রিটেনে আসেন। আইন বিষয়ে লেখাপড়া করেন লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০১ সালে বার অ্যাট ল ডিগ্রি অর্জন করা এই পেশাদার আইনজীবী ২০১৯ সালে ব্রিটেনের কুইন্স কাউন্সেল নিযুক্ত হন। কুইন্স কাউন্সেল তারাই যারা ব্রিটেনের রাজপরিবারের আইনি সহায়তা করে থাকেন।
এখন কিংস কাউন্সেল (কে সি) হিসাবে নিযুক্ত আছেন। এ পর্যন্ত আরো তিনজন বাঙালি কুইন্স কাউন্সেল হিসাবে নিয়োগ লাভ করেছিলেন। তারা হলেন- আখলাকুর রহমান, আজমালুল হক এবং মিস তরফদার।
মোজাম্মেল হোসেন বলেন, লন্ডন শহর আমাকে তৈরি করেছে, প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। আমার যা কিছু আছে, সব এই লন্ডন শহর থেকে পেয়েছি। লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হলে লন্ডনকে নিরাপদ ও জনবান্ধব নগরী হিসেবে বিনির্মাণ করতে চাই। কনজারভেটিভ পার্টি থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলে দুবারের মেয়র পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।