avertisements 2

নারী সর্বোচ্চ পদে থাকলেও নিরাপদ নয়: শিক্ষামন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ মার্চ,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:৪১ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪

Text

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিশিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘নারীর অধিকারে অনেক দূর এগোলেও সামাজিক কিছু রক্ষণশীলতা আছে। নারী সর্বোচ্চ পদে থাকলেও নারী নিরাপদ নয়। অগ্রগতিতে নারীদের দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি করতে হবে। ধর্ষণের ঘটনায় নারীর ইজ্জত সম্ভ্রমহানির মতো সামাজিক ধারণা থেকে সমাজকে মুক্ত করতে হবে। এর আচরণগত দায় পুরুষের। নারীর অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হলে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় নারী বান্ধব রাজনীতি ও নারী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ফার্স হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জাতীয় পরিষদ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভাষা দিয়ে নারীকে দমিয়ে রাখার প্রবণতা দূর করতে হবে। নারী-পুরুষের সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে, নারীর অংশীদারত্ব বৃদ্ধি করতে হলে পুরুষকে এই আন্দোলনে যুক্ত করতে হবে।

“অন্তর্ভুক্তিমূলক সংগঠন গড়ি, নতুন সমাজ বিনির্মাণ করি”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জাতীয় পরিষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুইডিশ অ্যাম্বাসেডর আলেকক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ড। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নানা অগ্রগতির পরেও নারী-পুরুষের সমতার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। এসডিজি রিপোর্ট অনুসারে নারীদের কাজ হারানোর হার বাড়ছে, বিনা পারিশ্রমিকে কাজের বোঝা বাড়ছে। এ জন্য বঞ্চিত নারীদের কণ্ঠস্বরকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে আনার জন্য বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জোরালো ভূমিকা রয়েছে। তিনি আশা করেন, সংগঠন এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে যাতে বিভিন্ন মানুষের মধ্যে থাকা বৈচিত্র্যকে ধারণ করে ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে।

সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর দাপট আছে শিক্ষা, প্রযুক্তিতে, সামাজিক মাধ্যমে। নারীর মাতৃত্বের ইস্যুকে সামনে এনে তাঁর চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, বৈষম্য করা হচ্ছে। এসব পরিস্থিতির উত্তরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বক্তারা বলেন, দেশের নেতৃত্বের উচ্চ পর্যায়ে নারীরা আসলেও এখনো অনেক নারী বঞ্চনার শিকার। দেশে এখনো জেন্ডার বৈষম্য আছে। নারীদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে যথাযথ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—জাতীয় অধ্যাপক ও স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডা. শাহলা খাতুন, তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম প্রমুখ।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2