হজযাত্রী জাহাজে করে পাঠানোর আলোচনা এবার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:১০ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
এবার জাহাজে করে পবিত্র হজ্জব্রত পালনকারী পাঠানোর জন্য আলোচনা চলেছে। বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য সমুদ্রপথে জাহাজ নামাতে চায় কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা বন্দরে যেতে জাহাজে সময় লাগবে ১০ দিন। যাওয়া-আসা ও হজের আনুষ্ঠানিকতা মিলিয়ে একজন হজযাত্রীর মোট সময় লাগবে ৩৭ দিন। জাহাজে গেলে উড়োজাহাজের চেয়ে এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ কম হবে।
সমুদ্রপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিতে প্রতিষ্ঠানটি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। গত ২৯ জানুয়ারি প্রস্তাবটি নিয়ে সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা হয়।
নৌপরিবহনসচিব মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় সমুদ্রপথে হজযাত্রী নিয়ে পক্ষে–বিপক্ষে মতামত আসে। কেউ কেউ জাহাজে করে হজ করতে যাওয়াকে ইতিবাচক বলেছেন। নানামুখী চ্যালেঞ্জের কথাও তুলে ধরেছেন কেউ কেউ। সমুদ্রপথে সৌদি আরব সরকার অনুমতি দেবে কি না, তা-ও নিশ্চিত নয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। সেখান থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। দেশটি রাজি হলে তখন অন্যান্য প্রক্রিয়া শুরু হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আশির দশকে বাংলাদেশ থেকে জাহাজে করে সৌদি আরবে যেতেন হজযাত্রীরা। তখন জাহাজে করে যেতে–আসতে সময় লাগত তিন মাস। একপর্যায়ে তা বন্ধ হয়ে যায়।
২৯ জানুয়ারি আন্তমন্ত্রণালয় সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জাহাজ চলাচলের পক্ষে মত দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, সমুদ্রপথে জাহাজ চললে কম খরচে হজ করা যাবে। এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে খরচ পড়বে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফেরদৌস আলম বলেন, জাহাজে করে হজ করতে যাওয়ার উদ্যোগটি ভালো। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সৌদি আরব সরকারের কাছে প্রস্তাবটি পাঠানো হবে।
তবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, জাহাজে হজযাত্রী পরিবহন করতে হলে সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি সংশোধন করতে হবে। তা ছাড়া জলপথে যাওয়া হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন কোথায় হবে, সেটাও আলোচনার বিষয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ শাখার উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন বলেন, হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিবছর যে চুক্তি হয়, তাতে উড়োজাহাজের কথা উল্লেখ থাকে, জাহাজের কথা বলা থাকে না। তা ছাড়া সমুদ্রপথে সময় লাগবে বেশি। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে তার দায়িত্ব কে নেবে? তিনি বলেন, ‘এসব সমস্যার কথা আমরা জানিয়েছি। সমুদ্রপথে হজযাত্রী নিতে চাইলে সৌদি আরব সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তারা সম্মত কি না, সেটি জানতে হবে। তারপর অন্য প্রক্রিয়া করতে হবে।’