আর্থিক সংকটে ইভিএমের নতুন প্রকল্প স্থগিত: ইসি সচিব
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৩ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:০৪ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৫

বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের কারণে আপাতত দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে সরকার।
সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানান।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইভিএম প্রকল্পটি বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনান্তে এবং বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সরকারের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় আপাতত প্রক্রিয়াকরণ না করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানিয়েছে। গতকাল বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন কমিশন সচিব।
নির্বাচন কমিশন গত বছরের অক্টোবরে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ লাখ ইভিএম ক্রয় ও ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইভিএমের বিষয়টি সামনে আসে, বিশেষ করে গত বছরের ৭ মে আওয়ামী লীগ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বলেন, নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করে পরবর্তী নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রস্তাবনা দেয়। নির্বাচন কমিশনের কাছে বর্তমানে প্রায় দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে এবং তা দিয়ে তারা ৭০ বা ৮০টি আসনে নির্বাচন করতে পারবে।
২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার শুরু হয়। এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন নির্বাচন কমিশন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার শুরু করলেও কোনো সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করেনি।
২০১২ সালে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনও জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করেনি। নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিটি সংশোধন করে এবং ৬টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা কেউ ভোট দিতে পারবেন না

তরুণরা সক্রিয় থাকলে কোনো সমস্যাই অমীমাংসিত থাকতে পারে না : প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিএনপির ‘সদিচ্ছা’ দেখতে চায় এনসিপি, আজ ফের বসবে কমিশন

লন্ডনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর আ.লীগের নেতা-কর্মীদের হামলার চেষ্টা
