ক্রিকেটার নাসির ও তার স্ত্রীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত ২৮ ফেব্রুয়ারি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩১ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ১২:১১ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ডিভোর্স না দিয়ে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন, স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি ও শাশুড়ি সুমি আক্তারের বিচারের বিষয়ে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদ বিচারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার এ তারিখ ধার্য করেন।
গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন। একই সঙ্গে নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।
নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশের বিরুদ্ধে গত বছর ৬ মার্চ মহানগর দায়রা আদালতে রিভিশন করেন তাদের আইনজীবী কাজী নজিব্যুল্লাহ হিরু। অন্যদিকে সুমি আক্তারকে অব্যাহতি দেয়ার আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান।
মঙ্গলবার বাদী পক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ চার্জগঠনের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করেন। আমরা বাদীপক্ষ সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করি। প্রায় এক বছর পর উভয় রিভিশনের শুনানি অনুষ্ঠিত হলো। আদালত উভয়পক্ষের যুক্তি শুনেছেন। আগামি ২৮ ফেব্রুয়ারি আদেশের তারিখ রেখেছেন। ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ জানেন।
অভিযোগ আরও করা হয়ে, রাকিবের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই তাম্মি নাসিরকে বিয়ে করেছেন, যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। তাম্মিকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন নাসির। তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সী কন্যা মারাত্মভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
দণ্ডবিধির ৪৯৭,৫০০ এবং ৩৪ ধারায় মামলাটির আবেদন করা হয়েছে। মামলায় আগের বিয়ে গোপন থাকা অবস্থায় অন্যত্র বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া, ব্যভিচার ও মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।