avertisements 2

চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ বাজেট বরাদ্দকে ছাড়িয়ে গেছে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৮ মে,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ১২:২৭ এএম, ২৫ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

ডলারের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বৈদেশিক দায়দেনা পরিশোধে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১০ মাসে অর্থাৎ জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে প্রায় ১১৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার ব্যয় করেছে সরকার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১২ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। 

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাময়িক তথ্য অনুসারে, অর্থবছর শেষ হওয়ার দুই মাস আগেই বাজেটে সুদ পরিশোধ বাবদ বরাদ্দের প্রায় পুরোটাই খরচ হয়ে গেছে। চলতি অর্থবছরের সুদ বাবদ পরিশোধের পরিমাণ বাজেট বরাদ্দ ১২ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০২ শতাংশ বেড়েছে পরিশোধের পরিমাণ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সুদহার বেড়ে যাওয়া এবং ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সুদ পরিশোধ বেড়েছে বলে জানান ইআরডির কর্মকর্তারা। তারা জানান, সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট (সোফর) স্বল্পমেয়াদি সুদহারের বেঞ্চমার্ক বেড়েছে। বর্তমান সোফর রেট ৫ শতাংশের বেশি, যা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ১ শতাংশের কম ছিল। অন্যদিকে বাংলাদেশের বাজারভিত্তিক ঋণ ক্রমাগত বাড়ছে। এ কারণে বাংলাদেশকে এখন সুদ বাবদ বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে যে ঋণ পায়, তার প্রায় ৭৫ শতাংশ বাজারভিত্তিক ঋণ। এছাড়া এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ও বিশ্বব্যাংক থেকেও স্বল্প পরিসরে বাজারভিত্তিক ঋণ নেয় বাংলাদেশ। 

এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও বাজেটসহায়তা বাবদ সরকারের ঋণের পরিমাণ বাড়ার কারণেও সুদ পরিশোধের চাপ বাড়ছে বলে জানান ইআরডির কর্মকর্তারা। এদিকে সুদহার বৃদ্ধির সঙ্গে সরকারের মোট ঋণ পরিশোধের হারও বেড়েছে। ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-এপ্রিল সময়ে সরকারের ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। সরকার সুদ ও আসল মিলিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের এ সময় মোট পরিশোধ করেছে ২৮১ কোটি ১৭ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৯৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার। ইআরডির প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে আসল ও সুদ মিলিয়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বেড়ে ৩৫৬ কোটি ডলার হতে পারে।

ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাংলাদেশ ৭৬০ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেশি। সবমিলিয়ে চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে ইআরডির। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে এডিবির কাছ থেকে। এ সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া গেছে ২৬৯ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি। এছাড়া জাপানের কাছ থেকে ২০৩ কোটি ডলার ও বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১৪১ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2