চেয়ার হারানোর ভয় করি না
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৯ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২৪ | আপডেট: ০৩:০২ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর কাউকে ভয় পায় কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, কাউকে ভয় পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। চেয়ার নড়ে যাবে বা ছাড়তে হবে এমন ভয় আমি করি না। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ভবনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন গভর্নর।
কেন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, এর পেছনে কোনো অদৃশ্য চাপ আছে কি না, এমন প্রশ্নের প্রসঙ্গে রউফ বলেন, আমি আগে অর্থসচিব ছিলাম। আমার চাকরির মেয়াদ ১ বছর ৩ মাস বাকি থাকতেই আমি গভর্নরের দায়িত্ব নিয়েছি। গভর্নরের চাকরি কোনো স্থায়ী চাকরি না যে চাকরি টেকাতে কাউকে ভয় করে চলতে হবে।
রউফ আরও বলেন, ‘যদি আমার না পোষায় আমি এক মাসের নোটিশে চাকরি ছেড়ে দিতে পারব। যদি সরকার চায় তারাও আমাকে সরিয়ে দিতে পারে। গভর্নর চেয়ার বাঁচাতে ভয় পেয়ে চলার কিছু নেই। আমরা যাতে কোনো কিছুতেই ভয় না পাই সেভাবেই আমাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।’
দুর্বল ব্যাংকগুলো কতটা সবল হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ‘আনন্দের কথা হচ্ছে দুর্বল তফসিলি ব্যাংকগুলো সবল না হলেও নতুন করে আর কোনো খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। ব্যাংকের পরিস্থিতি ঠিক করা সময়সাপেক্ষ। তবে আশা করা যাচ্ছে, ব্যাংকিং পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাচ্ছে।’
ন্যাশনাল ব্যাংকের সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যর্থ হয়ে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের পরামর্শ নিয়ে চলছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি নিয়ে যখন সমস্যা হয়েছিল সেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি পদক্ষেপ নিয়েছে। এমডিকে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে ন্যাশনাল ব্যাংকের এক এজিএমকে নিয়ে আবার সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তারা সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। আমাদেরও চিঠি দিয়েছে। আমরা সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জের পরামর্শ নিয়ে কাজ করেছি।
আগে একটা সময় ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জের মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত হতো না। এখন দুটি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করতে পারছে; এটা ইতিবাচকভাবে নেয়া উচিত বলে জানান আব্দুর রউফ। মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান, মুখপাত্র মেজবাউল হক, ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের প্রমুখ।