বাণিজ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো কিছু নেই: সচিব
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:৩০ এএম, ৫ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, বাংলাদেশকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে সচিবের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমেরিকা থেকে যে চিঠি দেয়া হয়েছে, তার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। এ চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো চাপ অনুভব করছে না। আমরা প্রতিনিয়ত এসব নিয়ে কাজ করছি।
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ৮৬৫তম সভা অনুষ্ঠিত
তিনি বলেন, ইউএস শ্রম নীতি গ্লোবাল ইস্যু। যারা ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে কাজ করেন, তাদের বিরুদ্ধে যেন কোনও পদক্ষেপ নেয়া না হয়, সেই চেষ্টা থাকতে হবে। এটা আসলে চলমান প্রক্রিয়া।
বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ কাজ করার বিষয়ে বাণিজ্য সচিব বলেন, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো পরিস্থিতি বাংলাদেশে আছে বলে আমি মনে করি না। তাছাড়া বাণিজ্য ক্ষেত্রে আমেরিকা থেকে বাংলাদেশ বিশেষ কোনো সুবিধা পায় না, যেখানে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। ১৫ শতাংশের বেশি শুল্ক দিয়ে আমেরিকাতে আমাদের রফতানি করতে হয়। কাজেই বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।
বিশ্বব্যাপী কর্মীদের ক্ষমতায়ন, অধিকার ও হাই-লেবার স্ট্যান্ডার্ড উন্নয়ন ইস্যুতে গত ১৬ নভেম্বর প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিনকেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যারা ইউনিয়ন নেতা, শ্রমিক অধিকার রক্ষাকারী এবং শ্রমিক সংগঠনকে আক্রমণ করে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য বিষয়ক জরিমানা ও ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ইতিমধ্যে শ্রমমান ও শ্রমিক অধিকার বিষয়ে মার্কিন নতুন নীতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস। তারা বলছে, দেশের রাজনৈতিক ইস্যু ঘিরে এটি ব্যবহার করা হতে পারে পোশাক খাতে। ওই চিঠিতে বলা হয়, শ্রম পরিবেশ আর শ্রমিক অধিকার রক্ষার ইস্যু বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত। কাজেই অবহেলা না করে গুরুত্ব দিতে হবে এই বিষয়ে। যদিও নীতিটি সর্বজনীন।