৬০ হাজার টাকায় ধর্ষণের মীমাংসা করলেন নারী কাউন্সিলর
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ৭ অক্টোবর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ১১:৩১ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এক বিধবাকে ধর্ষণের ঘটনায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানায় রফদফা করার অভিযোগ উঠেছে সিটি কর্পোরেশনের নারী (সংরক্ষিত) কাউন্সিলর শিউলি নওশাদের বিরুদ্ধে।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই এলাকার বাড়িওয়ালা খোকার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ভাড়াটিয়া ওই বিধবা (৩৫)।
বিষয়টি স্থানীয় নারী কাউন্সিলরকে জানালে তিনি গত সোমবার রাতে দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় কাউন্সিলরের নিজ বাসভবনে বসে সালিশের নামে ওই জরিমানা করেছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জরিমানার টাকা এক মাসের মধ্যে পরিশোধের সময় নির্ধারণ করে ধর্ষিতার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই বিধবা।
এলাকাবাসী জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২০নং ওয়ার্ড বন্দরের দড়ি সোনাকান্দা এলাকার ৩ সন্তানের জননী বিধবা নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে বাড়িওয়ালার ছেলে খোকা মিয়া।
গত রোববার রাতেও বিধবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে খোকা। ওই বিধবা নারী রাতেই ঘটনাটি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে নাসিক (১৯, ২০ ও ২১নং ওয়ার্ডের) সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শিউলি নওশাদের শরণাপন্ন হন ধর্ষক খোকা মিয়ার মা।
গত সোমবার রাতে নারী কাউন্সিলর শিউলি নওশাদের নিজ বাস ভবনে এক সালিশ বিচারের আয়োজন করা হয়। সালিশ বিচারে কাউন্সিলর শিউলি নওশাদ ধর্ষক খোকাকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে রায় ঘোষণা করেন।
ওই বিধবা নারী সাংবাদিকদের বলেন, এই বাড়িতে ভাড়া আসার পর থেকেই বাড়িওয়ালার ছেলে খোকা আমাকে বিরক্ত করত। এক পর্যায়ে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। বিয়ে নিয়ে টালবাহানা করায় শারীরিক সম্পর্ক বন্ধ থাকে। রোববার রাতে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে খোকা। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানানো হয়।
সোমবার রাতে কাউন্সিলর শিউলি আপার বাড়িতে বসে বিচার সালিশে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে। এক মাসের মধ্যে জরিমানার টাকা দেয়ার নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি আমার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন মাতুব্বররা।
ধর্ষণের মতো অপরাধের সালিশ করার এখতিয়ার আছে কিনা- এ ব্যাপারে কাউন্সিলর শিউলি নওশাদকে ফোনে জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, মোবাইলে আপনার সঙ্গে এসব কথা বলা সম্ভব না। সাক্ষাতে কথা বলব।
বন্দর থানার ওসি মো. ফখরুদ্দিন ভূঁইয়া জানান, বিধবা ধর্ষণের ঘটনা আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।