avertisements 2

এপ্রিলের ৭ তারিখে প্রথম ধাপে চার শতাধিক ইউপি ভোটের পরিকল্পনা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:২৩ এএম, ১৯ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:০৫ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

দেশের ২৬ জেলার চার শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে তফসিল দিয়ে এপ্রিলের ৭ তারিখে ভোটগ্রহণ করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী মে মাসে মেয়াদোত্তীর্ণ বিবেচনায় ইসি ওই সংখ্যা নির্ধারণ করেছে।
আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর পরই ইউপির প্রথম ধাপ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ইউপির সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ কিছু পৌরসভার তফসিল দেওয়ারও চিন্তা করছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার জানান, কত সংখ্যক ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন করা হবে তা নিয়ে কমিশন সভায় আলোচনা করা হবে। কমিশন যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেই অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হবে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ), আইন, ২০০৯ অনুযায়ি বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সভা থেকে মেয়াদ পাঁচ বছর। এ সময়কাল বিবেচনা করে আগামী মে’ মাসে মেয়াদ শেষ হচ্ছে এমন সকল ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ২৬টি জেলার ৪৭৯টি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মেয়াদ এপ্রিল ও মে মাসের বিভিন্ন সময়ে শেষ হবে। ওইসব ইউপিতে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

সূত্র আরও জানায়, আগামী ১৪ এপ্রিল রোযা শুরু হতে পারে- এমন বিবেচনায় আগামী ৭ এপ্রিল ভোটগ্রহণের জন্য ‘ভালো সময়’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মার্চের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। ওই নির্বাচনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ভিত্তিক ছবিসহ ও ছবি ছাড়া- এই দুই ধরনের ভোটার তালিকার সিডি তৈরি করতে হবে। এসব সিডি তৈরির কাজ শুরু করতে হবে আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর। সেক্ষেত্রে কমবেশি চারশ’ ইউপিতে প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে বরিশাল বিভাগসহ উপকূলীয় এলাকা প্রাধান্য দেয়া হবে। বর্ষা মৌসুমে উপকূলীয় এলাকায় ভোটকেন্দ্রে মালামাল পরিবহন কষ্টকর হয়ে পড়ে।

ইসির পরিকল্পনায় প্রথম ধাপে যেসব জেলার ইউপি রয়েছে সেগুলো হলো- পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার তিনটি, বাউফলের ছয়টি, দশমিনার তিনটি ও গলাচিপার ছয়টি ইউপি। বরিশাল সদর উপজেলার ৮টি, বাকেরগঞ্জের ১১টি, উজিরপুরের ৬টি, মুলাদীর ৬টি, মেহেন্দিগঞ্জের ৫টি, বাবুগঞ্জের ৪টি, গৌরনদীর ৭টি, হিজলার ৪টি, আগৈলঝাড়ার ৬টি ও বানারীপাড়ার ৭টি। বরগুনার সদরের ৯টি, আমতলীর ৬টি, বেতাগীর ৭টি, বামনার ৪টি ও পাথরঘাটার ৭টি। পিরোজপুরের সদরের ৪টি, ভান্ডারিয়ার ৫টি, ইন্দুরকানির একটি, মঠবাড়িয়ার ৬টি, নেছারাবাদের ১০টি, কাউখালীর ২টি ও নাজিরপুরের ৪টি। ঝালকাঠী সদরের ৯টি, নলছিটির ১০টি, রাজাপুরের ৬টি ও কাঠালিয়ার ৬টি। ভোলা সদরের ২টি, দৌলতখানের ৫টি, বোরহানউদ্দিনের ২টি, তজুমুদ্দিনের ৩টি ও চরফ্যাশনের ৭টি।

খুলনার ডুমুরিয়ার ১৪টি, কয়রার ৭টি, দাকোপের ৯টি, বটিয়াখাটার ৩টি ও দিঘলিয়ার ৬টি। বাগেরহাটের সদরে ৯টি, ফকিরহাটের ৭টি, মোল্লাহাটের ৬টি, চিতরমারীর ৭টি, কচুয়ার ৭টি, রামপালের ১০টি, মোংলার ৬টি, মোড়েলগঞ্জের ১৬টি ও শরনখোলার ৪টি। সাতক্ষীরা সদরের ১২টি, কলারোয়ার ১০টি, তালার ১১টি, দেবহাটার ৪টি, কালীগঞ্জের ১২টি ও শ্যামনগরের ৭টি।

রংপুরের পীরগাছার ১টি ও পীরগঞ্জের ৪টি, কুড়িগ্রামের চররাজিবপুরের ৩টি, দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের ৬টি এবং বগুড়ার দুপচাচিয়ার ১টি। এছাড়া, রয়েছে ঢাকার দোহারের ৫টি ও কেরানীগঞ্জের ৭টি, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের ৮টি, নরসিংদীর পলাশের ২টি, গাজীপুরের কালীগঞ্জের ৭টি, টাঙ্গাইলের নাগপুরের ১১টি, মাদারীপুর সদরের ৮টি ও শিবপুরের ১৩টি। মৌলভীবাজারের জুড়ির ১টি, সুনামগঞ্জের ছাতকের ৬টি, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ১টি, চাঁদপুরের হাইমচরের ১টি, লক্ষ্মীপুরের রামগতির ২টি ও কমলনগরের ৩টি, নোয়াখালীর সুবর্ণচরের ৬টি ও হাতিয়ার ৭টি, কক্সবাজারের পেকুয়ার ১টি, মহেষখালীর ৩টি, কুতুবদিয়ার ৬টি ও টেকনাফের ৫টি।

সর্বশেষ ২০১৬ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ছয় ধাপে ৪ হাজার ৩২১টিতে ভোট হয়। এর মধ্যে ওই বছরের ২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৫২টি ও একই বছরের ৩১ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে ৬৮৪টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ), আইন, ২০০৯ (৩) অনুযায়ি, আগামী ২১ ও ৩০ মার্চের মধ্যে এ দুই ধাপের নির্বাচনের বিধান রয়েছে। কিন্তু ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলমান থাকায় মার্চে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করা সম্ভব হবে না বলে ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। এছাড়া, ইসি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে নির্বাচনের সময় ৯০ দিন পর্যন্ত বাড়াতে অনুরোধ জানিয়েছে বলেও ইসি সূত্রে জানা গেছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2