avertisements 2

পটুয়াখালী থেকে ঢাকার ভাড়া মাত্র ২০ টাকা!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৫৫ এএম, ১১ নভেম্বর, বুধবার,২০২০ | আপডেট: ০৫:০৯ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪

Text

পটুয়াখালী থেকে ঢাকায় যেতে ভাড়া মাত্র ২০ টাকা। অবিশ্বাস্য এ মূল্যে টিকিট বিক্রি করছে ঢাকা-পটুয়াখালী রুটের যাত্রীবাহী ডবল ডেকার লঞ্চগুলো। সাধারণ শ্রেণির প্রত্যেক যাত্রী মাত্র ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন। প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের ক্ষেত্রেও ভাড়া কম নেয়া হচ্ছে।

১১০০ টাকার সিঙ্গেল কেবিন মাত্র ৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর ২০০০ টাকার ডবল কেবিন ১২০০ টাকা। নামমাত্র ভাড়ায় সাধারণ শ্রেণির যাত্রীরা ঢাকায় যেতে পেরে মহাখুশি। তবে এই খুশির ধারা কতদিন থাকে তার নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২২ অক্টোবর থেকে পটুয়াখালী-ঢাকা রুটের লঞ্চ ভাড়া কমে যায়। সাধারণ শ্রেণির যাত্রীদের সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ভাড়া ৩৮৩ টাকা। সাধারণত লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে জনপ্রতি ৩৫০ টাকা ভাড়া নেয়। ৩৫০ টাকা থেকে বর্তমানে ২০ টাকায় নেমে এসেছে ভাড়ার অঙ্ক।

রোববার পটুয়াখালী ও বগা লঞ্চঘাট পরিদর্শনকালে দেখা যায়, শ্রমিকরা ২০ টাকা ভাড়া হাঁকিয়ে যাত্রী তুলছেন। ওই দিন পটুয়াখালী থেকে মোট ছয়টি ডবল ডেকার লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। লঞ্চগুলো হল- রয়েল ক্রুজ, সুন্দরবন, প্রিন্স আওলাদ, সাত্তার খান, জামাল ও আসা-যাওয়া। এর মধ্যে রয়েল ক্রুজ গত ২২ অক্টোবর ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে চলাচল শুরু করে।

রয়েল ক্রুজের কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, রুট পারমিট পেয়ে আমরা ২২ অক্টোবর থেকে যাত্রা শুরু করি। আমরা আসার পরই ঢাকা-পটুয়াখালী রুটের রোটেশন প্রথা ভেঙে দেয়া হয়। কৌশলে অন্যান্য লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ভাড়া কমিয়ে দেয়। যেন আমরা লোকসান দিয়ে এই রুটে টিকতে না পারি। এ কারণেই মূলত ভাড়া কমে গেছে।

অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে সুন্দরবন লঞ্চের কর্মকর্তা মো. ইউনুচ হোসাইন বলেন, সাধারণ মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মালিক সমিতি রোটেশন প্রথা ভেঙে দিয়েছেন ঠিক কিন্তু কারও ক্ষতির উদ্দেশ্যে নয়। যাত্রীসংখ্যা কমে যাওয়ায় আমরা প্রতিযোগিতা করছি। যে কারণে ভাড়া কম নিচ্ছি।

এদিকে মাত্র ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে ঢাকায় যেতে পেরে মহাখুশি গার্মেন্টকর্মী আবদুস সালাম। তিনি বলেন, রোটেশন প্রথা না থাকলে লঞ্চগুলোর মাঝে প্রতিযোগিতা থাকে। সাধারণ মানুষ এতে উপকৃত হয়। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ২০ টাকা ভাড়ার খবরটি ছড়িয়ে দিয়েছেন।

পটুয়াখালী নদীবন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান বলেন, এই রুটে লঞ্চের সংখ্যা বেশি এবং যাত্রীর সংখ্যা কম হওয়ায় ভাড়া কম নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2