avertisements 2

আইসিইউতে ‘বেড খালি থাকা’ সত্ত্বেও ভর্তির অনুমতি মেলেনি, রাবি ছাত্রের মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:০১ এএম, ২ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ১২:৪০ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে বেড খালি থাকা সত্ত্বেও ভর্তির অনুমতি না দেওয়ায় চিকিৎসার অভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মামুনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দুপুর একটার দিকে মারা যান ওই শিক্ষার্থী। তিনি ২১ নম্বর ওয়ার্ডের রোগী ছিলেন। মৃত মামুন রাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আলসার ও জন্ডিসে ভুগছিলেন তিনি।

জন্ডিসের কারণে সম্প্রতি তার কিডনি ‘বিকল’ হয়ে যায় বলে জানান তার সহপাঠীরা। এরপর চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে নিয়ে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশনা দেন। হাসপাতালের পরিচালকের অনুমতি না থাকায় চিকিৎসকের নির্দেশনা সত্ত্বেও ওই শিক্ষার্থীকে বেড দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

রাজশাহীর নওহাটা এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন। রাজশাহী মহানগরের লোকনাথ স্কুল মার্কেটের কাছে ‘তন্নী ছাত্রাবাসে’ তিনি থাকতেন।

সহপাঠী ঈসমাইল হোসেন জনি জানান, ভোর রাত ৪টার দিকে আব্দুল্লাহ আল মামুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ-এর প্রয়োজন পড়ে। তারা আইসিইউ’র জন্য যোগাযোগ করলে একটি সিট ফাঁকা আছে বলে জানানো হয়। এই সিট পেতে হলে হাসপাতালের পরিচালকের লিখিত অনুমতি লাগবে বলে দায়িত্বরতরা জানান।

আরও পড়ুন: তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচি

তিনি আরও জানান, সিট পেতে হাসপাতাল পরিচালককে রাতে ফোন করেন শিক্ষার্থীরা। তবে তিনি ফোন ধরেননি। পরে বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতালে আইসিইউ’র ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু এরই মধ্যে মারা যান মামুন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এনামুল হক বলেন, ‘মামুনের বাবা ও তার তিনজন সহপাঠী আমার কাছে এসেছিলেন। হাসপাতালে আইসিইউর ব্যবস্থা করতে আমার সহযোগিতা লাগবে বলে জানিয়েছিলেন তারা। রাত ৪টার দিকে আমাকে এক ছাত্র মেসেজ করে আইসিইউর জন্য সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানান। ঘুমিয়ে থাকায় তখন তাদের মেসেজের সাড়া দিতে পারিনি। পরে যোগাযোগ করা হলেও আইসিইউ পাওয়ার আগেই ওই শিক্ষার্থী মারা যান।’

তিনি বলেন, ‘বাঁচানোর মালিক আল্লাহ। তবে যদি আইসিইউ পেতেন তাহলে চিকিৎসাটা আরও ভালো হতো। এমন দুঃসংবাদ আসতো কি-না সেটা জানি না।

জানতে চাইলে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2