avertisements 2

‘মিন্নি কেন সাত নম্বর? এমপি পুত্র সুনাম দেবনাথ কেন আসামি নাই’

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:১০ পিএম, ২ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ১০:৩৭ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় সেখানকার সংসদ সদস্য (এমপি) অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথকে আসামি না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলায় অভিযুক্তরা।

গত মঙ্গলবার আদালতের কার্যক্রম শেষে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় রিফাত হত্যায় অভিযুক্তরা সাংবাদিকদের সামনে উচ্চস্বরে বলেন, ‘অন্যায় অবিচার হচ্ছে।’ এ সময় পাশ থেকে কেউ একজন অভিযুক্তদের বলেন, ‘এই কথা কম কও।’ এরপর আবার অভিযুক্তরা বলেন, ‘মিন্নি কেন সাত নম্বর? সুনাম দেবনাথ কেন আসামি নাই। সুনাম দেবনাথ নির্দেশদাতা, সে কেন আসামি নাই। বাদশাহ হত্যার কেন বিচার হয় নাই।’

এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে আজ শুক্রবার দুপুরে মুঠোফোনে এমপিপুত্র সুনাম দেবনাথ বলেন, ‘এটা আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র। রিফাত হত্যাকাণ্ড এবং এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। কখনো ছিলও না। আমি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

এমপিপুত্র বলেন, ‘এমন একটি আলোচিত হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত শেষে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করেছে। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ও জড়িতদের স্বীকারোক্তি এবং তদন্তে পাওয়া সঠিক তথ্য-উপাত্ত দিয়েই পুলিশ চার্জশিট দাখিল করেছে। এমন একটি আলোচিত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকলে কারওরই রেহাই পাওয়ার সুযোগ নেই। এ ঘটনায় জড়িত থাকলে আমিও রেহাই পেতাম না।’

সুনাম দেবনাথ আরও বলেন, ‘সব অভিযুক্তই রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আমার নাম কি ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে এসেছে? রিমান্ডে কোনো আসামি বলেছে? আপনারা বুঝতে পারছেন, এটা আমার বিরুদ্ধে কী রকম ষড়যন্ত্র। কিন্তু চার্জশিট দাখিলের পর অভিযুক্তদের আমার বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য ষড়যন্ত্রমূলক।’

সুনাম আরও বলেন, ‘মামলার প্রধান দুই আসামি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে। তারা আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই এই ষড়যন্ত্র করছে। একটি মহল আমার বাবা ও আমার সম্মান ক্ষুণ্ন এবং হয়রানি করতে অভিযুক্তদের বাইর থেকে কেউ প্ররোচনা দিচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিফাত শরিফ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমার তদন্তে প্রাপ্ত সমস্ত তথ্যে কারা কীভাবে জড়িত, তা পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে। আসামিরা বর্তমানে কারাগারে আছে। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2