avertisements 2

কেমন হবে আগামী জাতীয় নির্বাচন?

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:৪১ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ১২:৫৩ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

সংবিধান অনুযায়ী আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনও তিন বছরের বেশি সময় বাকি থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে এনিয়ে আলোচনা ও বহুমুখী বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বিগত দুটি সংসদ নির্বাচনের চিত্র ও কৌশল বিশ্লেষণ করে দলগুলোর নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় আগামী নির্বাচনের বহুমাত্রিক ছবি আঁকার চেষ্টা করছেন। আগামী নির্বাচনের কৌশল বা প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নিজেদের প্রস্তুতির রূপরেখা নির্ধারণ করতে পারছেন না। ফলে প্রায় সবারই সাধারণ জিজ্ঞাসা- কেমন হবে আগামী জাতীয় নির্বাচন?

বিভিন্ন দলের দায়িত্বশীল নেতাদের ঘরোয়া আড্ডা-আলোচনায় কান পাতলে এই প্রশ্ন ভেসে আসছে। কেউ বলছেন, বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং এর বাইরেও উল্লেখযোগ্য আরও কয়েকটি দলের বয়কটের মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচন হয়েছে। আবার বিএনপিসহ ২০ দল এবং তাদের নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন হলেও এনিয়ে দেশে-বিদেশে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। এ দুটি নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ও কৌশল পর্যালোচনায় দুই ধরনের চিত্র উঠে আসে। যেসব দল কিংবা যারা আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাদের আলোচনার টেবিলে এখন ঘুরে-ফিরে যেই প্রশ্নটি উঠে আসছে সেটি হলো- তাহলে পরবর্তী নির্বাচনটা কেমন হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে অবসরে যাওয়া অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক গতকাল রবিবার ইত্তেফাকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে আমাদের এখানে আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি কারো আমলেই নির্বাচনের অভিজ্ঞতা ভালো না। নানা কৌশলে তারা ক্ষমতায় থাকতে চান। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত কথাটা প্রযোজ্য। বর্তমানে আমাদের রাজনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ। খারাপ অবস্থা থেকে কীভাবে আমরা ভালোর দিকে যাবো- সেই আলামত তো দেখছি না। এ অবস্থায় আগামী নির্বাচন ভালো হবে- কথাটা বলতে পারছি না।’ তার মতে, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যদি উন্নত চরিত্রের হতো তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হতো। কিন্তু কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এখানে দলগুলোর কোনো চিন্তাভাবনা কিংবা মনোভাব আছে বলেও মনে হয় না।

বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলোর বদ্ধমূল ধারণা, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এই ধারণা কিংবা বিশ্বাসের পক্ষে যুক্তি হিসেবে এই দলগুলোর নেতারা যে বিষয়টি সামনে উপস্থাপন করছেন তা হলো- দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও একাদশ নির্বাচনে গিয়ে তারা সেটি প্রমাণ করতে পেরেছেন। বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গী কিংবা সমমনা দলগুলো তাদের এ অভিজ্ঞতার কথা একাদসংবিধান অনুযায়ী আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনও তিন বছরের বেশি সময় বাকি থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে এনিয়ে আলোচনা ও বহুমুখী বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বিগত দুটি সংসদ নির্বাচনের চিত্র ও কৌশল বিশ্লেষণ করে দলগুলোর নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় আগামী নির্বাচনের বহুমাত্রিক ছবি আঁকার চেষ্টা করছেন। আগামী নির্বাচনের কৌশল বা প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নিজেদের প্রস্তুতির রূপরেখা নির্ধারণ করতে পারছেন না। ফলে প্রায় সবারই সাধারণ জিজ্ঞাসা- কেমন হবে আগামী জাতীয় নির্বাচন?

বিভিন্ন দলের দায়িত্বশীল নেতাদের ঘরোয়া আড্ডা-আলোচনায় কান পাতলে এই প্রশ্ন ভেসে আসছে। কেউ বলছেন, বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং এর বাইরেও উল্লেখযোগ্য আরও কয়েকটি দলের বয়কটের মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচন হয়েছে। আবার বিএনপিসহ ২০ দল এবং তাদের নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন হলেও এনিয়ে দেশে-বিদেশে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। এ দুটি নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ও কৌশল পর্যালোচনায় দুই ধরনের চিত্র উঠে আসে। যেসব দল কিংবা যারা আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাদের আলোচনার টেবিলে এখন ঘুরে-ফিরে যেই প্রশ্নটি উঠে আসছে সেটি হলো- তাহলে পরবর্তী নির্বাচনটা কেমন হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে অবসরে যাওয়া অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক গতকাল রবিবার ইত্তেফাকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে আমাদের এখানে আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি কারো আমলেই নির্বাচনের অভিজ্ঞতা ভালো না। নানা কৌশলে তারা ক্ষমতায় থাকতে চান। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত কথাটা প্রযোজ্য। বর্তমানে আমাদের রাজনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ। খারাপ অবস্থা থেকে কীভাবে আমরা ভালোর দিকে যাবো- সেই আলামত তো দেখছি না। এ অবস্থায় আগামী নির্বাচন ভালো হবে- কথাটা বলতে পারছি না।’ তার মতে, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যদি উন্নত চরিত্রের হতো তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হতো। কিন্তু কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এখানে দলগুলোর কোনো চিন্তাভাবনা কিংবা মনোভাব আছে বলেও মনে হয় না।

বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলোর বদ্ধমূল ধারণা, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এই ধারণা কিংবা বিশ্বাসের পক্ষে যুক্তি হিসেবে এই দলগুলোর নেতারা যে বিষয়টি সামনে উপস্থাপন করছেন তা হলো- দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও একাদশ নির্বাচনে গিয়ে তারা সেটি প্রমাণ করতে পেরেছেন। বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গী কিংবা সমমনা দলগুলো তাদের এ অভিজ্ঞতার কথা একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরপরই ফলাও করে বলেছেন। অন্যদিকে নির্বাচনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থার সংকটও দিনে-দিনে প্রকট হচ্ছে। যা সামপ্রতিক সময়ে বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্র-বিমুখতায় দেখা গেছে। ভোটকেন্দ্রে ভোটারের খরা দেশে-বিদেশের গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে। এ অবস্থায় আগামী নির্বাচনেও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ অনিশ্চিত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে সরকারবিরোধী দলগুলো।

এবিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ইত্তেফাকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘দিনে-দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গড়াচ্ছে। জাতি হিসেবে আমরা একটা খারাপ অবস্থার মধ্যে আছি। বেশিরভাগ দলই মনে করছে- নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে না। ভোট সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলে এখানে গণ্ডগোল হতে পারে, জুলুম হতে পারে। এরকম পরিস্থিতিতে সরকার ও বিরোধীপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গির অলৌকিক কোনো পরিবর্তন না ঘটলে সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখি না।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সুষ্ঠু ভোটের পথে নতুন করে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে গত ১০-১১ বছরে ক্ষমতাসীন দলে অনুপ্রবেশকারীরা। জেলায়-জেলায় বিএনপি, জামায়াত, ফ্রিডম পার্টি, নিষিদ্ধ ঘোষিত পার্টি থেকে অনেকে ঢুকে পড়েছে ক্ষমতাসীন দলে। এমনকি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের পোষ্যরাও বিপুল অর্থের বিনিময়ে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, মহানগর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পদবি বাগিয়ে নিয়েছে। পদ বাগানোর পাশাপাশি এলাকায় টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাও নিয়ন্ত্রণ করছে এই অনুপ্রবেশকারীরা। তাদের সীমাহীন উপদ্রব ও দৌরাত্ব্যে এসরকারের উন্নয়নও ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এই বিশ্লেষকরা এ-ও বলছেন, যতই সমালোচনা থাকুক এ সরকারের উন্নয়ন-চিত্র কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কিন্তু সরকারের সেই অর্জন নস্যাত্ করে দিচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা।

জানা গেছে, দলীয় পদ আর অর্থের যৌথ প্রভাবে এলাকায় বিভিন্ন নির্বাচনও এখন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে অনুপ্রবেশকারীরা। আসন্ন ইউপি ও পৌরসভা নির্বাচনের পাশাপাশি আগামী জাতীয় নির্বাচনও নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করবেন বলে এই অনুপ্রবেশকারীরা বিভিন্ন এলাকায় হুঙ্কার দিচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসনও তাদের কব্জায় রয়েছে বলেও এলাকায় জানান দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। বিভিন্ন স্থানে অনুপ্রবেশকারীদের এমন ত্রাসের কারণেও আগামীতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই।শ সংসদ নির্বাচনের পরপরই ফলাও করে বলেছেন। অন্যদিকে নির্বাচনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থার সংকটও দিনে-দিনে প্রকট হচ্ছে। যা সামপ্রতিক সময়ে বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্র-বিমুখতায় দেখা গেছে। ভোটকেন্দ্রে ভোটারের খরা দেশে-বিদেশের গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে। এ অবস্থায় আগামী নির্বাচনেও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ অনিশ্চিত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে সরকারবিরোধী দলগুলো।

এবিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ইত্তেফাকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘দিনে-দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গড়াচ্ছে। জাতি হিসেবে আমরা একটা খারাপ অবস্থার মধ্যে আছি। বেশিরভাগ দলই মনে করছে- নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে না। ভোট সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলে এখানে গণ্ডগোল হতে পারে, জুলুম হতে পারে। এরকম পরিস্থিতিতে সরকার ও বিরোধীপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গির অলৌকিক কোনো পরিবর্তন না ঘটলে সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখি না।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সুষ্ঠু ভোটের পথে নতুন করে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে গত ১০-১১ বছরে ক্ষমতাসীন দলে অনুপ্রবেশকারীরা। জেলায়-জেলায় বিএনপি, জামায়াত, ফ্রিডম পার্টি, নিষিদ্ধ ঘোষিত পার্টি থেকে অনেকে ঢুকে পড়েছে ক্ষমতাসীন দলে। এমনকি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের পোষ্যরাও বিপুল অর্থের বিনিময়ে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, মহানগর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পদবি বাগিয়ে নিয়েছে। পদ বাগানোর পাশাপাশি এলাকায় টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাও নিয়ন্ত্রণ করছে এই অনুপ্রবেশকারীরা। তাদের সীমাহীন উপদ্রব ও দৌরাত্ব্যে এসরকারের উন্নয়নও ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এই বিশ্লেষকরা এ-ও বলছেন, যতই সমালোচনা থাকুক এ সরকারের উন্নয়ন-চিত্র কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কিন্তু সরকারের সেই অর্জন নস্যাত্ করে দিচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা।

জানা গেছে, দলীয় পদ আর অর্থের যৌথ প্রভাবে এলাকায় বিভিন্ন নির্বাচনও এখন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে অনুপ্রবেশকারীরা। আসন্ন ইউপি ও পৌরসভা নির্বাচনের পাশাপাশি আগামী জাতীয় নির্বাচনও নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করবেন বলে এই অনুপ্রবেশকারীরা বিভিন্ন এলাকায় হুঙ্কার দিচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসনও তাদের কব্জায় রয়েছে বলেও এলাকায় জানান দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। বিভিন্ন স্থানে অনুপ্রবেশকারীদের এমন ত্রাসের কারণেও আগামীতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2