avertisements 2

গরু আছে ক্রেতা নেই! ইজারাদারদের আর্থিক ক্ষতির শংকা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৯ জুলাই,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১১:১৩ এএম, ১০ মার্চ,রবিবার,২০২৪

Text

রংপুরের লালবাগ অন্যতম পশুহাট। হাটটির ইজারামূল্য বছরে প্রায় ২ কোটিরও বেশি টাকা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে প্রতি হাটে গরু-ছাগল দিয়ে প্রায় পাঁচ-ছয় হাজারেরও বেশি পশু কেনাবেচা হতো। কিন্তু এবছর করোনার কারনে ঈদকে ঘিরে ১টি হাটের সুযোগ পেয়েছেন ইজারাদারেরা। এতে করে ইজারাদারদের দুশ্চিন্তায় কপাল ভাঁজ। কঠোর লকডাউনে হাট করতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। এবছর হাটে ক্রেতাদের আনাগোনা নিতান্তই কম।

এ পরিস্থিতিতে লাগবাগ পশু হাটের ইজারাদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন তারা। বিশেষ করে ইজারাদাররা ভয়ানক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে লকডাউনে হাট বন্ধ থাকার পর সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে পশুর হাট খোলা রাখলেও ক্রেতা বিক্রেতার অভাবে এখন লগ্নির টাকা কীভাবে পাবেন—এই চিন্তায় দিশেহারা ইজারাদাররা। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হাটের ইজারা মূল্য কমাতে সরকারের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন । করেছেন ইজারাদারেরা।

লাগবাগ হাটের ইজারাদার আব্দুল্লাহেল কাফী বলেন, ১০ জন মিলে ২ কোটি টাকার বিনিময়ে হাটটি ইজারা নেওয়া হয়েছে। প্রতি হাটে খরচ ৬০-৮০ হাজার টাকা ধরে সাড়ে ছয়-সাত লাখ টাকা আদায় হলে বছর শেষে হাট ডাকের মূল তোলা সম্ভব ছিল। কিন্তু এই মাসে ঈদকে ঘিরে আজ প্রথম হাট। গত বছরের লোকসান সামলিয়ে উঠতে পারিনি। এবছরও ইজারার টাকাই উঠবে না।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘসময় ধরে গরুর হাট চালাচ্ছি। এরকম অবস্থায় কখনও পড়িনি। দুই ঈদের আগে একমাস ধরে হাটে সর্বোচ্চ বেচাকেনা হতো। কিন্তু গত বছরের ঈদেও করোনায় হাট বন্ধ ছিল। এবছরও একই অবস্থা তারমধ্যে এখন হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা কম। মানুষের উপার্জন নেই এবার কোরবানি খুবই কম হবে। এ অবস্থায় চলতে থাকলে মরণ ছাড়া গতি নেই।

আরেক ইজারাদার দুলু মিয়া বলেন, আগের তুলনায় ক্রেতা অনেকটাই কম হাটে। সপ্তাহে দু’দিন এই হাট বসে যে হাটে জমজমাট পশু কেনাবেচা হতো, সেই হাটটি করোনার থাবায় এখন প্রায় ক্রেতা কম। বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা এসে এই হাট থেকে গরু কিনে নিয়ে যান। এবার তা চোখেই পড়ছে না। এবছরেও ইজারার টাকা উঠবেনা পরিবার নিয়ে আমাদের মরণ দশা।

লালবাগ গরু ব্যবসায়ী শামছুল আলম বলেন, করোনায় হাট বন্ধ ছিল, তাই পশু হাটের সঙ্গে জীবিকা নির্ভরশীল অসংখ্য মানুষ পুরোপুরি কর্মহীন হয়ে পড়েছে। হাট চালু করা হলেও ক্রেতার অভাবে হাট জমজমাট হচ্ছে না। হাটের উপার্জন দিয়েই আমাদের সংসার চলে এভাবে আমাদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে গেছে। সারা বছর সাধারণ কিন্তু ঈদকে কেন্দ্র আমাদের মূল ব্যবসা। সেটিই দুই বছর থেকে আর হচ্ছে না।

পশুর হাটে কথা হয় ক্রেতা ফারহান এর সঙ্গে। তিনি বলেন, করোনার কারণে এবার বিভিন্ন পশুর চাহিদা কম দেখা যাচ্ছে। দামও তুলনামূলক অনেক কম রয়েছে। তবে পরিবহন খরচটা আগের চেয়ে বেশি। উপার্জন কম তাই আগের তুলনায় সল্পতার মধ্যে গরু কিনলাম। তবে হাটের অবস্থা বেশি ভালো নেই।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2