ফাগুন হাওয়ার উদ্যোগে সিডনিতে  বৈশাখের  সবচেয়ে বড় আয়োজন

ফাগুন হাওয়া আয়োজিত “ডাটা ফেয়ার বৈশাখী  আড্ডা “ ১৪২৮ ছিল এই বছরের সিডনির সবচেয়ে বড় বৈশাখী  আয়োজন ।ষোল আনা বাঙালী ঐতিহ্যকে মাথায় রেখে পুরোটা অনুষ্ঠান সাজানো হয়। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ছিলো উপচেপড়া প্রবাসীদের উপস্থিত। করোনার বিধিনিষেধ মেনে প্রথমে ২০০ জনের বেক্সলি ম্যানোর ফাংশন সেন্টারে আয়োজন এর উদ্যোগ নেওয়া হলেও  অনুষ্ঠনের এক সপ্তাহ আগে নিয়ম নীতি শিথিলতা ও পরিবর্তন হওয়ার পরে কিছু দর্শনার্থী আসন বাড়ানোর ঘোষনা দেওয়ার পর পরই অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়ায় এক পর্যায়ে ঘোষনা করা হয় সব টিকেট শেষ,কিন্তু তার পরও কিছু অনুরোধ রাখতে গিয়ে শেষ প্রায় ৫০০ শতাধিক  দর্শনার্থী উপস্হিতিতে অনুষ্ঠানটা সম্পন্ন করা হয়। 
            

অনুষ্ঠানটি জাকজমকপুর্ন সাংস্কৃতিক ও বর্নীল ভাবে সাজিয়ে প্রায় চার ঘন্টা যাবত উপস্থাপন করে স্টেজ মাতিয়ে রাখেন 
বাসব রায়, মাসুদা জাহান ছবি, অনুরিতা মজুমদার ।অনুষ্ঠানের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের 
জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে আরম্ভ করা হয়।পুরো অনুষ্ঠানে ছিল নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি ও বাঙ্গালী সংস্কৃতির প্রদর্শণ।নাচে অংশগ্রহন করেন মৌসুমী সাহা ও তার দল, আনুভা, আদ্রিতা রায়,কবিতা আবৃত্তি করেন -আকিদুল ইসলাম, ফাইজুন নাহার পলি,দেবী সাহা, পুরবী পারমিতা ঘোষ,মোশতাক আহমেদ, আরিফুর রহমান।সুরেলা কন্ঠে রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশনা করেন পলাশ্রী রায়।দেহতত্ত্ব গানে মন মাতিয়েছিল নামিদ ফরহাদ এবং আয়শা কলি, সবশেষে সিডনির নামকরা ব্যান্ড দল “কৃষ্টি” পরিবেশনা করেন বৈশাখী গান সহ বাংলাদেশের জনপ্রিয় গান গেয়ে সবাইকে মাতিয়ে স্টেজ কাপিয়ে রাখেন টানা ১ ঘন্টা বিরতিহীন। সাউন্ড সিস্টেমস ছিলেন সন্জয় টাবু আর  ক্যামেরায় ছিলেন নুর  মিশু (গোল্ড ডাস্ট) ।

 সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অতিথীদের জন্য ছিলো  খাবারের বিশেষ আয়োজন। অনুষ্ঠানে গরম গরম ইলিশ মাছ ভ্যেনুতে ভেজে  পরিবেশন করা হয়।বাকি খাবার অতি পরিচিত রকডেলের ফুসকা হাইজ থেকে সংগ্রহ করা হয়।এছাড়াও হরেক রকম পিঠা ,মিস্টি ,দধি ,চিড়া ,খই ,নাড়ু ,মুরি মুডকী মোরালী , ফুসকা সহ বাংলাদেশী মজাদার ও ঐতিহ্যপুর্ন বিভিন্ন খাবারের সমাহার ছিল। বাচ্চাদের জন্য বিশেষ ভাবে পোলাও ,রোস্ট ,ডিম,চিপস ও সুসজ্জিত ফ্রুটস প্লাটার পরিবেশন করা হয়।
বৈশাখী আড্ডায় আগত অতিিথীদের আনন্দ এবং বৈশাখীর সৌন্দর্য ও পরিপূর্ন আমেজ ফুটিয় তোলার জন্য হলের সামনে স্টল বসানো হয়। যেখানে বাচ্চাদের খেলনা ও বড়দের বিভিন্ন বাঙ্গালী পোষাক বিক্রি করা হয়।বৈশাখী আড্ডার বিশেষ আকর্ষণ  অতিথিদের জন্য  Raheel’s make-up worlds এর পক্ষ্য থেকে  ফ্রি পানের ব্যবস্হা ছিল।
ফাগুন হাওয়ার পক্ষ্য থেকে “ফাগুন হাওয়া” এর সভাপতি তিশা তাসমিম তানিয়া বলেন “ফাগুন হাওয়া” একটি অরাজনৈতিক এবং সকলের জন্য উন্মুক্ত প্রতিষ্ঠান এবং এবছর প্রথম বারের মত বাংলা নতুন বছর বৈশাখ উদযাপনে বাংলাদেশী ছাডাও ভারতীয় বাংগালী ও নেপালীরাও অংশগ্রহন করেন।তিনি আরও বলেন  আমাদের বাঙ্গালী ঐতিহ্য কৃষ্টিও কালচারের সাথে সব দেশীয় মানুষকে পরিচিত করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।

অনুষ্ঠানটির টাইটেল স্পনসর ডাটা ফেয়ার সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে। তারা হলো
 Data Fair -title sponsor( Alamgir Islam Babu), Tm Alliance motors ( Bahlul Alam ),Global accounting (Joarder Hossain) ,Mother Earth ( Sukanata Paul),Raheel’s makeup worlds( Hema Rezwan),  G Learn ,Optus Rockdale ( Harry Takyar),Parish Patience ( Motasim Billah ), Person vue authorized Center ( ziaul kabir), Ananda sweets and Bekery ( Tonni kabir)
    এছাড়া কমিউনিটির বেশ কয়েকজন ব্যাক্তি এই অনুষ্ঠানটা সফল করার জন্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা করছেন । তারা হলেন মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন,মিল্টন আহমেদ  ,শফিক চৌধুরী, মোহাম্মদ আলম। 
    সব স্পনসরা স্টেজে এসে তাদের মূল্যবান  অনুভূতির কথা বলেন তারা অত্যন্ত খুশি যে একরকম একটা অনুষ্ঠানের অংশীদার হতে পারে। বলেন মনে হচ্ছে তারা বাংলাদেশে বসে পহেলা বৈশাখ করছে। তারা সবসময় ফাগুন হাওয়ার পাশে থাকার অভিমত ব্যক্ত করেন। টাইটেল স্পনসরের কর্নধার আলমঙগীর ইসলাম বাবু বলেন এত সুন্দর একটা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে থাকতে পেরে উনি অত্যন্ত খুশি এবং বলেন সব সময় উনার সার্বিকভাবে ফাগুন হাওয়ার পাশে থাকবেন। 
বৈশাখী  আড্ডা ১৪২৮ উদযাপনের জন্য। 
এই “ফাগুন হাওয়া”এর পক্ষ থেকে গঠিত ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি বৈশাখী টিম সকলে  এই সময় উপস্হিত ছিলেন । তারা হলেন ফারুক খান,নাজমুল হক,মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, সুকান্ত পাল,মোহাম্মদ এনামুল,বেলায়েত হোসেন,হেমা রেজওয়ান,ফাতেমাতুস জহুরা তমা,সাইদ রিয়েল, সাবাবা ইয়াছমিন। 
এছারাও যারা অনুষ্ঠানকে সাফল্য মন্ডিত করার জন্য যারা সার্বিক সহযোগীতা করেছেন তারাও উপস্হিত ছিলেন। তারা হলেন 
মাহফুজ আহমেদ,ফকরুল রিয়া,পি এস চুন্নু,আফরিনা  চৌধুরী,পুরবী পারমিতা ঘোষ,সান্তনু  বিশ্বাস ,আসরাফুল লাবু,সহিদুল ইসলাম সরকার,আবদুস সালাম। 

 
প্রতিবারের মত এবারও সাবেক কাউন্সিলর শাহে জামান টিটু  অনুষ্ঠানটি সুন্দর ও সাফল্য করার জন্য সার্বিক ভাবে
সহযোগীতা করেছেন। অনুষ্ঠানে শাহে জামান টিটু বলেন “ফাগুন হাওয়া” এর যেকোন গঠন মুলক কাজের সাথে তিনি সবসময় থাকবেন।

সর্বশেষ ফাগুন হাওয়ার সাধারন সম্পাদিকা সাজেদা আক্তার সানজিদা আগামী বছরে আবার “বৈশাখী আড্ডা” করার আশা ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি