avertisements 2

রামদেবের আয় ২৫০ কোটি করোনার ভুয়া ওষুধ বিক্রিতেই

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:৪১ পিএম, ৩০ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ০৮:৪৫ এএম, ১০ মার্চ,রবিবার,২০২৪

Text

করোনা (কোভিড-১৯) প্রতিরোধী ভুয়া ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ভারতীয় ধর্মগুরু বাবা রামদেবের প্রতিষ্ঠান পতঞ্জলির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সরকারও ভর্ৎসনা করেছে এই প্রতিষ্ঠানটির। এরপরেও বিক্রি বন্ধ করা হয়নি।

এতে গত চারমাসে শুধু ‘করোনিল কিট’ বিক্রি করেই প্রায় ২৫০ কোটি রুপি আয় করে প্রতিষ্ঠানটি। গত ২৩ জুন প্রথমবারের মতো করোনিল কিট বাজারে নিয়ে আসে পতঞ্জলি। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘করোনিল’ ও ‘শ্বাসারি বটি’ নামের দুই ধরনের ট্যাবলেট এবং ‘অণু তৈল’ নামের ২০ মিলিলিটারের একটি তেলের বোতল নিয়ে তৈরি ওই কিটের দাম রাখা হয় ৫৪৫ টাকা। ক্রেতারা চাইলে আলাদা আলাদা ট্যাবলেট ও তেল কিনতে পারবেন।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২৩ লাখ ৫৪ হাজার করোনিল কিট বিক্রি করেন তারা। এছাড়াও আলাদাভাবে ওই তিনটি পণ্য ৬২ লাখ ইউনিট বিক্রি করা হয় বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

পতঞ্জলির ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, আলাদাভাবে শ্বাসারি বটি বিক্রি করে ২৭ কোটি ৯৮ লাখ রুপি আয় করেছেন তারা। একইভাবে অণু তৈল বিক্রি করে ৪ কোটি ৬২ লাখ এবং করোনিল ট্যাবলেট বিক্রি করে ৮০ কোটি ৫২ লাখ রুপির আয় হয়। এছাড়াও এই তিনটি পণ্য মিলিয়ে তৈরি করোনিল কিট বিক্রি করে ১২৮ কোটি ২৯ লাখ রুপি আয় করে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ মোট ২৪১ কোটি ৪১ লক্ষ রুপি আয় করেছে পতঞ্জলি।

করোনিল বাজারে আসার পর থেকেই তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। তবে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের সিইও আচার্য বালকৃষ্ণ জানান, মানুষ তাদের ওপর বিশ্বাস রেখেছেন। বর্তমানে পতঞ্জলি ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার করোনিল কিট তৈরি করছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো জানান, করোনা প্রতিরোধে করোনিল কতটা কার্যকরি, দ্রুতই এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তারা সরকারের ‘আয়ুষ টাস্কফোর্সের’ কাছে জমা দেবেন।

ওই প্রতিকেদনে আরো বলা হয়, তাদের ওষুধ করোনা ঠেকাতে ১০০ ভাগ সফল বলে দাবি করেই বাজারে প্রথম করোনা কিট নিয়ে আসে পতঞ্জলি। তারা বলেছিল, করোনিল ও শ্বাসরি নামে দু’টি ওষুধ বাজারে ছেড়েছে তারা। আর এই ওষুধ ৭ দিনের মধ্যে করোনা সারাতে ১০০ ভাগ সফল বলেও দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যেই করোনিলের প্রয়োগে করোনা রোগীরা সেরেও উঠছেন- এমন দাবির পর শোরগোল পরে যায় পুরো ভারতে। ফলে ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পতঞ্জলিকে নোটিশ পাঠায় দেশটির সরকার। একই সঙ্গে ওই ওষুধ সংক্রান্ত সব ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধেরও নির্দেশ দেয়া হয়।

পরিস্থিতি খারপ দেখে রামদেবের প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, ‘আমরা কখনো বলিনি এই ওষুধটি করোনা সারাতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আমরা ওষুধ তৈরি করে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছি। তাতে করোনা রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এতে কোনো জটিলতা নেই। এরপর করোনা কিটের নাম পরিবর্তন করে করোনিল কিট রাখে প্রতিষ্ঠানটি।

এ বিষয়ে রামদেব জানান, করোনিল এবং শ্বাসারি করোনা নিরাময় করবে না। তবে তা রোগ মোকাবিলায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

বিষয়: রামদেব

আরও পড়ুন

avertisements 2